এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বোর্ডভিত্তিক বৃত্তির তালিকা প্রকাশ

২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রদত্ত শিক্ষাবোর্ডভিত্তিক বৃত্তির কোটা বণ্টন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট এক হাজার ১২৫ জন মেধাবৃত্তি এবং নয় হাজার ৩৭৫ জন সাধারণ বৃত্তি পাবেন। বৃত্তির আর্থিক হারও নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে মেধাবৃত্তির জন্য মাসিক ৮২৫ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তির জন্য মাসিক ৩৭৫ টাকা বরাদ্দ থাকবে, সাথে বার্ষিক অনুদানও যুক্ত। এই অর্থ জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটি-এর মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে, যার জন্য শিক্ষার্থীদের উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তির সাত দিনের মধ্যে ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডগুলোকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বরাবর হার্ডকপি ও সফটকপি পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তি প্রদানের জন্য নয়টি বোর্ডে বোর্ডভিত্তিক বৃত্তির কোটা বণ্টন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে । এই বণ্টন নির্ধারিত মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির কোটা অনুযায়ী নিয়মিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অনুপাতে করা হয়েছে ।

৯টি শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী মোট বৃত্তির সংখ্যা হলো:

• মোট মেধাবৃত্তি পাবেন ১,১২৫ জন ।
• মোট সাধারণ বৃত্তি পাবেন ৯,৩৭৫ জন ।

বৃত্তি বণ্টনের বিস্তারিত বিবরণ নিম্নরূপ:

বোর্ডভিত্তিক মেধাবৃত্তির সংখ্যা

নির্ধারিত মেধাবৃত্তির কোটা অনুযায়ী নিয়মিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অনুপাতে বোর্ডভিত্তিক মেধাবৃত্তির সংখ্যা নিম্নরূপ [২]:

• ঢাকা বোর্ডে: ৪৬৫ জন
• রাজশাহী বোর্ডে: ১৭৯ জন
• দিনাজপুর বোর্ডে: ১১০ জন
• চট্টগ্রাম বোর্ডে: ১০৮ জন
• যশোর বোর্ডে: ১০৬ জন
• ময়মনসিংহ বোর্ডে: ৫০ জন
• কুমিল্লা বোর্ডে: ৪৯ জন
• বরিশাল বোর্ডে: ৩০ জন
• সিলেট বোর্ডে: ২৮ জন

বোর্ডভিত্তিক সাধারণ বৃত্তির সংখ্যা

নির্ধারিত সাধারণ বৃত্তির কোটা অনুযায়ী নিয়মিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অনুপাতে বোর্ডভিত্তিক সাধারণ বৃত্তির সংখ্যা নিম্নরূপ [৩]:

• ঢাকা বোর্ডে: ৩,০৩২ জন
• রাজশাহী বোর্ডে: ১,২৫৫ জন
• দিনাজপুর বোর্ডে: ৯৫২ জন
• চট্টগ্রাম বোর্ডে: ৮৩৯ জন
• যশোর বোর্ডে: ৮৪০ জন
• কুমিল্লা বোর্ডে: ৭৪০ জন
• বরিশাল বোর্ডে: ৬০০ জন
• সিলেট বোর্ডে: ৫৬১ জন
• ময়মনসিংহ বোর্ডে: ৫৫৬ জন

বৃত্তির আর্থিক হার

উক্ত অফিস আদেশ অনুযায়ী বৃত্তির আর্থিক হারও নির্ধারণ করা হয়েছে:

• মেধাবৃত্তির হার: মাসিক ৮২৫ টাকা এবং এককালীন বাৎসরিক অনুদান ১,৮০০ টাকা ।
• সাধারণ বৃত্তির হার: মাসিক ৩৭৫ টাকা এবং এককালীন বাৎসরিক অনুদান ৭৫০ টাকা।

এই বৃত্তির ব্যয় চলতি (২০২৫-২০২৬) অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের নির্দিষ্ট খাত (১২৫০২০১-১০৮৭৬২-৩৮২১১১৭ বৃত্তি বা মেধাবৃত্তি) হতে নির্বাহ করা হবে । এই সংক্রান্ত অফিস আদেশটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) প্রকাশিত হয় এবং এটি নয়টি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠানো হয় ।

আপনার জিজ্ঞাসা অনুযায়ী, নির্ধারিত মেধা ও সাধারণ বৃত্তির আর্থিক পরিমাণ এবং জিটুপি (G2P) পদ্ধতির নিয়মাবলী সম্পর্কে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো উৎসসমূহে পাওয়া যায়:

বৃত্তির আর্থিক পরিমাণ

২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তির হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

১. মেধাবৃত্তি (Merit Scholarship):

• মাসিক হার: ৮২৫ টাকা।
• এককালীন বাৎসরিক অনুদান: এক হাজার ৮০০ টাকা।

২. সাধারণ বৃত্তি (General Scholarship):

• মাসিক হার: ৩৭৫ টাকা।
• এককালীন বাৎসরিক অনুদান: ৭৫০ টাকা।

এই বৃত্তির ব্যয় চলতি (২০২৫-২০২৬) অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের ‘১২৫০২০১-১০৮৭৬২-৩৮২১১১৭’ বৃত্তি বা মেধাবৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে।

জিটুপি (G2P) পদ্ধতির নিয়মাবলী

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ প্রদানের জন্য জিটুপি (Government to Person) পদ্ধতি এবং ইএফটি (Electronic Fund Transfer) ব্যবহার করে তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠাতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে:

• বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবশ্যই অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসীলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে একটি ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে।
• উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তির সাত দিনের মধ্যে ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে।
• এই নির্দেশাবলী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ অন্যান্য তথ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা প্রদানের জন্য তাদের জানাতে হবে।

এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো ইএফটি-এর মাধ্যমে সরাসরি সরকারের তহবিল থেকে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে বৃত্তির অর্থ পাঠানো। এটি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করে তার হার্ডকপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠাতে হবে। এছাড়া, প্রকাশিত গেজেটের তথ্য শিক্ষার্থীদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ এক্সএল (Excel) এবং পিডিএফ (PDF) ফাইল-এ একটি নির্দিষ্ট ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে।

সহজভাবে বলতে গেলে, জিটুপি পদ্ধতিটি একটি ডিজিটাল সেতুর মতো কাজ করে, যা সরকারের কোষাগার থেকে (G) সরাসরি সুবিধাভোগী ব্যক্তি (P) অর্থাৎ শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে (ইএফটি-এর মাধ্যমে) বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়, যাতে অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত, স্বচ্ছ এবং মধ্যস্বত্বভোগী মুক্ত হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডসমূহের জন্য গেজেট প্রকাশের আবশ্যিক শর্ত ও সময়সীমা সম্পর্কে নিম্নরূপ তথ্য উৎসগুলোতে পাওয়া যায়:

১. গেজেট প্রকাশের সময়সীমা (Deadline for Gazette Publication)

বৃত্তির গেজেট প্রকাশের জন্য ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২. গেজেট প্রকাশের আবশ্যিক শর্ত ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের করণীয় (Mandatory Conditions for Boards)

সংশ্লিষ্ট বোর্ডসমূহকে গেজেট প্রকাশের জন্য নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:

1. গেজেট প্রকাশের পর সেটির হার্ডকপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে পাঠাতে হবে।
2. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ প্রকাশিত গেজেটের তথ্য অবশ্যই এক্সএল (XL) এবং পিডিএফ (PDF) ফাইল-এ ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে হবে।

৩. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আবশ্যিক শর্ত (Mandatory Conditions for Scholarship Recipients)

যদিও এই শর্তগুলো গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রযোজ্য, তবুও এগুলো বৃত্তির বরাদ্দ পেতে আবশ্যিক হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে:

1. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ করা বৃত্তির অর্থ জিটুপি (G2P) পদ্ধতিতে ইএফটি (EFT)-এর মাধ্যমে তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে।
2. এই অর্থ গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসীলভুক্ত যেকোন ব্যাংকে হিসাব খুলতে হবে।
3. উচ্চ শ্রেণিতে ভর্তির সাতদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তাদের ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এই নির্দেশনাগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি অফিস আদেশে জানানো হয়, যা ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশাল, যশোর, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর বোর্ডের চেয়ারম্যানদেরকে পাঠানো হয়েছে। এই বৃত্তিগুলো ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেট থেকে নির্বাহ করা হবে।