জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি কোর্সের মোট নম্বরের ৮০% নির্ধারিত হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে, আর বাকি ২০% বরাদ্দ থাকবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য স্নাতক (সম্মান) ও ডিগ্রি পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে ৮০ নম্বরের পরীক্ষায় মোট ১২টি প্রশ্ন দেওয়া হবে, যার মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার কাঠামো (৮০ নম্বর):
মোট নম্বর: ৮০
প্রশ্নের ধরন:
মোট ১২টি প্রশ্ন থাকবে।
এর মধ্যে যেকোনো ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ নম্বর।
মোট নম্বর: ৮ x ১০ = ৮০।
সময়কাল: ৪ ঘণ্টা।
বাতিল: অতি সংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকছে না।
ধারাবাহিক মূল্যায়ন (২০ নম্বর):
লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর ২০ নম্বরের ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে:
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনা, কুইজ টেস্ট: ৫ নম্বর
ক্লাস উপস্থিতি: ৫ নম্বর
ইন-কোর্স পরীক্ষা: ১০ নম্বর (দুটি ইন-কোর্সের গড়)
কার্যকর :নতুন এই পদ্ধতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে।
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ নম্বর করে, মোট নম্বর হবে ৮×১০ = ৮০। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ঘণ্টা।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে প্রশ্নের ধরণে—অতি সংক্ষিপ্ত ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বর্ণনামূলক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণধর্মী লেখনী ও উচ্চতর চিন্তাশক্তি মূল্যায়নের লক্ষ্যেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ পরিবর্তন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে—কেউ একে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ সময় ও প্রশ্নসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
নতুন এই পদ্ধতি আগামী পরীক্ষার সেশন থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই সিদ্ধান্ত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর তারিখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্ন কাঠামো এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠগ্রহণ ও অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন