প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা প্রকাশ

 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি , প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা প্রকাশ। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের আবেদন যোগ্যতা নূন্যতম ডিগ্রি/অনার্স পাস। বয়সসীমা ৩২ বছর।

*শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়।


নতুন বিধিমালার সংশোধনিতে বলা হয়েছে, ‘বিধি ৭ এর উপ-বিধি (২) এর দফা (খ) এর উল্লিখিত ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দ প্রতিস্থাপিত হবে। রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


২০২৫ সালের ২৮ আগস্ট প্রকাশিত ওই বিধিমালার উপ বিধিতে বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩% পদ মেধাভিত্তিক প্রার্থীগণের দ্বারা, তন্মধ্যে ২০% পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা এবং ৮০% পদ ‘অন্যান্য বিষয়ে’ স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণের দ্বারা মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগযোগ্য হইবে’



এছাড়া আগের বিধি মালার তফসিল-১ পরিবর্তিত হয়েছে। এ বিধিতে শিক্ষক নিয়োগর পদ্ধতি ও যোগ্যতা উল্লেখ রয়েছে।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য মোট ৯৩ শতাংশ পদ মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করা হবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, আর বাকি ৮০ শতাংশ পদ বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতকদের জন্য। 


এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য মোট ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা বা থানাভিত্তিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।


বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পর সবাইকে নির্ধারিত শিক্ষানবিশি মেয়াদ শেষে কর্মদক্ষতা ও আচরণে সন্তোষজনক বিবেচিত হলে চাকরি স্থায়ী করা হবে। তবে কেউ সন্তোষজনক পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলে, তার চাকরি বাতিল বা পূর্বের পদে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের থাকবে।



এছাড়া নিয়োগের পর চার বছরের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা ৫০ বছর বয়সে পদোন্নতি বা স্থায়ী হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার ও প্রশিক্ষণের শর্ত কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা যেতে পারে বলেও বিধিমালায় বলা হয়েছে।


বিধিমালা কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ১২তম গ্রেডে কর্মরত প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত হওয়ার পর ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ শেষ না করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত করা হবে।

Comments

Popular posts from this blog

অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল NU Honours 4th year Exam Result

অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন/ পুনঃনিরীক্ষণের (Re-scrutiny) ফলাফল NU Honours 3rd Year Exam Result Rescrutiny Application